চোখ মানব দেহের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল অঙ্গ। চোখ আলোক-সংবেদনশীল অঙ্গ ও দর্শনেন্দ্রীয়, চোখ কেবল আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। মানব দেহে দুই চোখ একই তলে অবস্থিত এবং একটি মাত্র ত্রিমাত্রিক “দৃশ্য” গঠন করে। তবে অনেক প্রাণীর দুই চোখ দুইটি ভিন্ন তলে অবস্থিত ও দুইটি পৃথক দৃশ্য তৈরি করে (যেমন – খরগোশের চোখ)।
বর্তমানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের অতিরিক্ত ধোঁয়ার ফলে বায়ু মন্ডলের ক্ষতিকর ওজোন গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সহজেই বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে। যার ফলে চোখে কম দেখা বা ছানির পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চোখের রেটিনার ভিতরে এক ধরণের সুক্ষ রক্ত নালী থাকে। অনেক সময় অক্সিজেনের অভাবে এখানে রক্ত শুন্যতা তৈরী হয়। এটি মূলত হয় ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে। ডায়াবেটিক রোগীদের এর সমস্যাকে বলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং এর কারণেই অনেক সময় রাত কানা রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ অভাবে, মাইয়োপিয়া হলে, বংশগত কারণেও রাতকানা রোগ হতে পারে।
তাই বিশেষভাবে চোখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চোখে সামান্য অসুবিধা হলেই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ সামান্য অযত্নেই আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে।
বিলবেরী একটি বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ যাতে নীল বা বেগুনী- রঙের বেরি জন্মায়। বিলবেরী গাছটি মধ্য এবং উওর ইউরোপ,এশিয়া এবং উওর আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায়। বিলবেরীর ফলে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থসমূহের মধ্যে রয়েছে অ্যানথোসায়ানোসাইডস, ফ্লাবোনয়েডস এবং টেনিনস এবং উদ্ভিদটিতে উপস্থিত রঙ্গক পদার্থের মধ্যে চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ বিদ্যমান। বিলবেরী প্রাকৃতিকভাবে চোখের কৈশিক নালি এর স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বহুল পরিচিত এবং এটি চোখের বেশ কিছু রোগের চিকিৎসায় ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অকুসেন্স এর সক্রিয় উপাদান হলো বিলবেরী
বিলবেরীর ফার্মাকোলজি ঃ
১. অকুসেন্স এ থাকা অ্যানথোসায়ানিন চোখের রডপসিন কে পুনজীবিত করে এবং এটি রাত কানা ও চোখের ছানি পড়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
২. অকুসেন্স এর কার্যকারী উপাদান ফ্লাবোনয়েডস, অ্যানথোসায়ানোসাইডস চোখের রেটিনায় এন্টি—অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। ফলে এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে এবং এর প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও অকুসেন্স চোখের কৈশিক নালি কে শক্তিশালী করে এবং চোখের রেটিনায় রক্তপাত হওয়া প্রতিরোধ করে।
৩. অকুসেন্স গ্লুকোমা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় কারণ এটি চোখের কোলাজেন গঠনের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৪. অকুসেন্স অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয় যেমন — ভেরিকোস ভেইন, এথেরোস্কেলেরোসিস, শিরায় অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ।
অকুসেন্স
বিলবেরী নিযার্স ১৬০ মিলিগ্রাম
Reviews
There are no reviews yet.